,

বাগেরহাটে নিরীহ ঘের ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে আদালতের রায় উপেক্ষা করে সম্পত্তি দখল ও মাছ ধরে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ধরনগর গ্রামে।

ভুক্তভোগী বাগেরহাট সদর উপজেলার সরুই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী খানের ছেলে মোঃ আবু জাফর খান শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখলীয় সম্পত্তি রক্ষায় বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়,কচুয়া থানাধীন ৬০ নং বি আর এস ৪০ নং-ধলনগর মৌজায় সি,এস,১১৬ নং খতিয়ানে সাবেক ৭৪৮ নং দাগে ১.৭৬ একর সম্পত্তি আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি। আমার পিতা মৃত আইয়ুব আলী খান বাংলাদেশ সরকারের নিকট হতে দেওয়ানী কার্য্য বিধি আইনের ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুযায়ী ৯৬৯/৬২-৬৩ নং আদেশে নিলাম সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। আমাদের এই ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষ করে আসছি। এই সম্পত্তিতে কচুয়া উপজেলার ধলনগর গ্রামের ধোলাই মজুমদারের ছেলে বাবু মজুমদার উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখলে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানালে তিনি স্থানীয় ব্যক্তিদেও সাথে নিয়ে বাবু মজুমদারকে ঘেরে প্রবেশে নিষেধসহ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এতে বাবু মজুমদার বিষয়টি কোন কর্নপাত না করে  আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও হুমকি অব্যাহত রাখে।

পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য কচুয়া মডেল থানায় নির্দেশ দেওয়ায় উক্ত ঘটনায় একাধিকবার থানায় বসাবসি হলেও বাবু মজুমদার কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং একাধিক বার সালিশীর তারিখ পরিবর্তন করে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। পরবর্তিতে বাবু মজুমদার স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে নিয়ে আমাকে মার পিটের হুমকি প্রদান করে অভিযুক্ত বাবু মজুমদার গত ১লা এপ্রিল রাতের অন্ধকারে ঘেরে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘেরে থাকা সাইন বোর্ড নিয়ে যায়। আমি ঘটনা জানতে চাইলে বাবু মজুমদার আমার ঘের থেকে মাছ ধরে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু জাফর জানান,করোনা পরিস্তিতিতে পরিবার নিয়ে অত্যন্ত দুর্বিশহ জীবন যাপন পার করছি। সেই পরিস্তিতে বাবু মজুমদার ও তার বাহিনীর ভয়ে ঘেরের মাছ বিক্রী তো দুরের কথা ঘেরে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। আমি খুব কষ্টের ভিতর আছি।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি সমাধানের চেস্টা করেছি তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় জমি সংক্রান্ত মূল কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং বলে মূল কাগজ কোর্টে জমা আছে। কোর্ট খুললে বিষয়টি কোটে উকিল সালিশের মাধ্যমে সমাধানের কথা রয়েছে বলে জানান।

এই বিভাগের আরও খবর